আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষকদের শুধু ‘মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে’ পর্যবেক্ষণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দেশি পর্যবেক্ষকদের করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিংয়ের সময় এ কথা বলেন ইসি সচিব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দেশি পর্যবেক্ষকরা কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না—সেই করণীয় তুলে ধরতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে ইসি।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা ব্রিটেনে কতগুলো পুলিশ দেখি, (আপনারা) দেখেন নাই? ব্রিটেনে পুলিশ আছে, এইভাবে স্ট্যাচুর (মূর্তি) মতো দাঁড়িয়ে থাকে, গলায় ঝুলিয়ে। (তারা) শুধু দেখবে, অবজার্ভ (পর্যবেক্ষণ) করবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘সাংবাদিকরা পর্যবেক্ষকদের সামনে ক্যামেরা ধরবেন। কিন্তু আপনারা কোনো কথা বলতে পারবেন না। তারা (সাংবাদিক) বলবে, আপনি একটু বলেন, মনের উৎসাহে চেহারা দেখানোর জন্য কমেন্ট করতে পারবেন না। লাইভে (সরাসরি সম্প্রচার) করতে পারবেন না, ইন্টারভিউ (সাক্ষাৎকার) দিতে পারবেন না।’
হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসি সচিব জানান, পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে, পর্যবেক্ষক সংস্থাও কোনো কথা বলতে পারবে না। প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বলতে পারবে। এসব নিয়ম ভঙ্গ করলে সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
ব্রিফিংয়ের কার্যপত্র সূত্রে জানা যায়, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোট কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না পর্যবেক্ষকরা। ভোট প্রদানের গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোট কক্ষে জটলা করতে পারবেন না। এমন কোনো আচরণ বা কাজ করা যাবে না, যা কোনো দলের প্রার্থীর পক্ষে যায়। লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করা যাবে না।
ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্রটি সবসময় গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে পর্যবেক্ষণ শুরু করবেন। এ সময় ভোট গ্রহণের কাজে যাতে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে, সে দিকেও খেয়াল লাখতে হবে পর্যবেক্ষককে। অন্য পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদেরকেও পর্যবেক্ষণ কাজে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেয় ইসি। এ ছাড়াও পর্যবেক্ষণ নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দেয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।