তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার বন্ধ না করে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব দস্তিদারের ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় েএ মন্তব্য করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে মানুষটিকে আদালত সাজা দিয়েছে। সেই তারেক রহমান কিভাবে ভিডিও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রার্থী ঠিক করে? নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার তা প্রশ্ন। আমি মনে করি তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার বন্ধ না করে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।
তিনি বলেন, ইসির উচিত ছিল তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার বন্ধ করা। কিন্তু ইসি এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাব বিএনপি ক্রমাগতভাবে আচরণবিধি লংঘন করছে সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ফয়সালা হবে দেশে কি আবার সাম্প্রদায়িক হায়নারা ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়ে আবির্ভূত হবে, না কি যারা উন্নয়ন করে তারা ক্ষমতায় আসবে?
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আমার অনুরোধ আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন পর্যন্ত ভোটের বাক্স পাহাড়া দিতে হবে।ভোটের বাক্স পাহাড়া দিয়ে ভোটের ফলাফল নিয়ে তারপরে আমরা ঘরে ফিরবো।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর কাগজে দেখলাম যদি তারা জয় লাভ করে তারেক রহমান হবে প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই জানলাম কামাল হোসেনের সঙ্গে গোপনে চুক্তি হয়েছে তাকে রাষ্ট্রপতি করা হবে। তারেক রহমানের মত দণ্ডপ্রাপ্ত ঘৃণিত, যার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে তাকে তারা প্রধানমন্ত্রী বানাতে চায়। তার আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিএনপি সমস্ত মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তারেক রহমান। আর তিনিই মনোনয়নের ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন। সিদ্ধান্ত কামাল হোসেন নিতে পারেন না, সিদ্ধান্ত নেন তারেক রহমান আমার ভাবতে লজ্জা লাগে যারা তাদের চেতনা বিসর্জন দিয়ে দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ঐক্য করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে মাঠে নেমে বিএনপি বুঝতে পেরেছে মাঠ তাদের দখলে নেই। এটা বুঝতে পেরে তারা এখন নির্বাচন থেকে পালাতে চায় কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়। তবে তাদের আমি অনুরোধ করবো দয়া করে আপনারা নির্বাচনী মাঠ থেকে পালাবেন না।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা অরুণ সরকার রানা, চিত্র নায়িকা নতুন, কন্ঠ শিল্পী এস ডি রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য কবি নাসির আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।