বিনা কারণে গ্রেপ্তার না করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পরও ২১ জনকে গ্রেপ্তার ও মামলা দেয়া হয়েছে বলে বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে।
শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও নতুন করে গ্রেপ্তার না করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দপ্তরে পৌঁছে দেন বিএনপির মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন খান।
সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয়ার পর সালাউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তিনবার করে (১৫, ১৭ ও ২০ নভেম্বর) চিঠি দিয়েছিলাম-আমাদের একজন লোক নিখোঁজ। কিন্তু তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, কমিশন বলে আসছে নির্দেশনা দিয়েছে। জীবিত থাকতে নির্দেশনা দেয়নি, মারা যাওয়ার পর দিয়ে কী হবে? কমিশন আগে কী করেছে? এ নিয়ে ইসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এর দায় কমিশন এড়াতে পারে না।
চিঠিতে তফসিল ঘোষণা থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত আরও ২১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে তালিকা দেয়া হয়েছে।
তালিকায় আছেন- রমনা থানা ছাত্রদল নেতা জুয়েল রানা (গ্রেপ্তারের পর নিখোঁজ); রূপনগর থানার বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, রূপনগর থানা যুবদলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম সিপু ও যুবদলের প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, শাহজাহান সিকদার, মিন্টু মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলাউদ্দিন; মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, মাসুম, সূত্রাপুর থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার, বিএনপি ওয়ার্ড নেতা কাউছার আহমেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান, শ্রমিক দলের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন; খিলক্ষেত থাকার ৪৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক ভুঁইয়া, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা বিএনপি সদস্য আলমগীর মেম্বার, পৌর বিএনপি সদস্য আব্দুল খালেক, পৌর যুবদলের সদস্য রুবেল মিয়া, ভৈরব শিমুলকান্দি বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল, পৌর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া ফারুক, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার মিয়া এবং কুমিল্লা-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী এম এ আউয়াল খান।