নির্বাচন কমিশন যতই পক্ষপাতিত্ব করুক জাতীয়তাবাদী শক্তি সজাগ থাকলে এবার ‘ভোটে দুর্নীতি’ করার কোনও সুযোগই তারা পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আলাল বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে আমরা আগেই বলেছি। তবে ইসি এখন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো জোর করে বিরোধী দলকে হারাতে পারবে না। কারণ ৩০০ আসনে একই দিনে নির্বাচন হলে প্রতি কেন্দ্রে বড়জোর দুজন করে পুলিশ পড়বে। আর নির্বাচনের এজেন্টরা যতই চেষ্টা করুক দু’জন পুলিশ দিয়ে নির্বাচনে দুর্নীতি করতে পারবে না। যদি জাতীয়তাবাদী মানুষেরা সজাগ থাকে।’
সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে চেতনা বাংলাদেশের উদ্যোগে “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন : কমিশনের ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সিইসির সমালোচনা করে আলাল বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না। এই নির্বাচন কমিশনের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা আর হিজড়ার কাছে সন্তান আশা করা একই কথা।’
আওয়ামী লীগ মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে মন্তব্য করে যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মানসিক শক্তি সেদিনই হারিয়ে ফেলেছে যেদিন তারা দেখেছে নমিনেশন পেপার এর জন্য তাদের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি লোক পল্টনে জড়ো হয়েছে। এত লোক দেখে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাই তারা পুলিশ দিয়ে তাদের গাড়ি পুড়িয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছিল।’
‘বিএনপি দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চায়’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে আলাল বলেন, ‘গৃহযুদ্ধ তাদের (আওয়ামী লীগ) মধ্যে শুরু হয়েছে। ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা নিয়ে তারা যেভাবে নেমেছিল আবার সেই লগি-বৈঠা নিয়েই তারা হাজির হয়েছে। তবে এবার তারা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে।’
আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে দেবে কিনা সন্দেহ আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে দেবে কিনা সন্দেহ আছে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা নির্বাচন করবো।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শামীমা রহিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর হাওলাদার, এস এম জাহিদুল হাসান ও শাহবাগ থানা কৃষক দলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।