ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ( সিইসি) পরিবর্তন চাওয়াকে চমক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বাকি আর মাত্র একমাস। শেষবেলাতে এসে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্যই ড. কামাল হোসেন এই চমক দেখালেন।’
সোমবার (২৬ নভেম্বর) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। যারা নির্বাচনের আগে ইলেকশনের কমিশনের পরিবর্তন চান তারা নির্বাচনে অংশ নিবে এটা আমার বিশ্বাস হয় না।’
প্রতিপক্ষের কৌশলে মার খেতে চায় না আওয়ামী লীগ এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিপক্ষের কৌশল দেখতে হবে। নির্বাচনে কৌশল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই একটু ধৈর্য ধরে আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। আমরা যাদের মনোনয়ন দেইনি তাদের নামও গণমাধ্যমে আসছে। এজন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা দেয়ার আগে কোনো গণমাধ্যমে তালিকা না প্রকাশ করার জন্য আহবান জানান তিনি।’
‘এখন যাচাই বাছাই করে শরিকদের সাথে সমঝোতার মাধমে পুর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে । মনোনয়ন দেয়া মানে চুড়ান্ত নয়। এরপরও প্রার্থীর জনপ্রিয়তা জরিপ করা হবে। তারপর যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তাকে প্রার্থী বলে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হবে।’ বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি প্রতিযোগিতামুলক নির্বাচন চায়। আমরা ২৩১ টি আসনে প্রার্থীদের চিঠি দেয়া দিয়েছি।’
মনোনয়ন পাওয়ার পর অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের মতো এতো বড় দলে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকতেই পারে। ছোট খাটো সংঘর্ষ হলেও বড় কোনো শঙ্কা নেই। চিঠির বাইরে কোন কিছু হবে না।’ আওয়ামী লীগে ৪৫জন নতুন প্রার্থীকে চমক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল আহসান (নওফেল), দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।