আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মতিউর রহমান নিজামীর (ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত) পাবনা-১ আসনের বিনিময়ে ঢাকা-১৫ আসন নিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। নিজেদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়ায় এবার ধানের শীষে নির্বাচন করতে একমত হয়েছে দলটি।
জামায়াতের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পাবনা-১ আসন ছেড়ে দিলেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের ভাগ নিয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরিক এই দলটি। পাবনা-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী সদ্য গণফোরামে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ।
ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে এ পর্যন্ত জামায়াত আসন পেয়েছেন- ডা. শফিকুর রহমান (ঢাকা-১৫), মাওলানা আবদুল হাকিম- (ঠাকুরগাঁও-২), মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ (দিনাজপুর-১), মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬), মুক্তিযুদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু (নীলফামারী-২), মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম (নীলফামারী-৩), অধ্যাপক গোলাম রব্বানী (রংপুর-৫), মাজেদুর রহমান সরকার (গাইবান্ধা-১), মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৪), মাওলানা ইকবাল হুসাইন (পাবনা-৫), অধ্যাপক মতিয়ারু রহমান (ঝিনাইদহ-৩), আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন (যশোর-২), অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ (বাগেরহাট-৩), অধ্যাপক আবদুল আলীম (বাগেরহাট-৪), অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫), মাওলানা আবুল কালাম আযাদ (খুলনা-৬), মুহাদ্দিস আবদুল খালেক (সাতক্ষীরা-২), মুফতি রবিউল বাশার (সাতক্ষীরা-৩), গাজী নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-৪), আলহাজ্ব শামীম সাঈদী (পিরোজপুর-১), মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (সিলেট-৫), মাওলানা হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬), ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের (কুমিল্লা-১১), আ ন ম শামসুল ইসলাম (চট্টগ্রাম ১৫), হামিদুর রহমান আযাদ (কক্সবাজার-২)।
এছাড়া আরও ৪/৫টি আসন আদায়ে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত। এর মধ্যে অন্যতম চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের প্রার্থিতা প্রত্যাশী নুরুল ইসলাম বুলবুল।
এদিকে নিজামীর আসন ছেড়ে দিয়ে ঢাকা-১৫ আসন নেওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জামায়াতে। পাবনা জেলা জামায়াতসহ নিজামীর অনুসারীরা দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বলেও জানা গেছে।