আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে। ওরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এটাই হচ্ছে ওদের কাছে সবচেয়ে সন্তোষজনক। এমন কোনো দল নেই, যারা অংশগ্রহণ করছে না। ওরা বরঞ্চ খুব অবাক—এতগুলো দল, এতগুলো জোট তোমরা ম্যানেজ করছো কীভাবে। ওরা ভাবতেই পারে না, আমরা এগুলো করতে পারি।
বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের পাশে নির্বাচন পরিচালনা অফিসে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা চাই একটি অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচনে সকলে অংশগ্রহণ করুক। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অত্যন্ত স্পষ্ট একটি নির্বাচন—যেটি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই আদর্শগুলো আমেরিকানরাও ধারণ করে। তাদের সঙ্গে আমাদের মতের যথেষ্ট মিল আছে। এই জন্যই তারা আমাদের এখানে এসেছেন। এটিই প্রথম নয়, কিছুদিন আগে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক এসেছিলেন এবং আওয়ামী লীগ অফিসে প্রায়ই অনেকে এসে দেখা করেন।
তিনি বলেন, কূটনৈতিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যদি বলেন—সব রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই আমাদের ব্যক্তিগত কথাবার্তা ও আলোচনা হয়। সেগুলো সব সময় প্রচার করার দরকার আমরা মনে করি না। পার্থক্যটা হলো—অন্যান্য দলগুলো তারা বড় বড় হোটেলে তাদের জন্য ডিনারের ব্যবস্থা করেন, তারা দাওয়াত করেন—তারা বাড়িতে যান, দেখা করতে যান আর আওয়ামী লীগের উচ্চতা এতখানি গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ব্যাপারে, আমাদের যে যাই সমালোচনা করুক, তারা সকলেই বলছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা অন্য স্টান্ডার্ড আছে। সেই স্টান্ডার্ডের জন্য, এই উচ্চতার মানের জন্যই তারা এখানে আসেন।’
তিনি বলেন, আমি কথায় কথায় বলেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকার জনগণ আমাদের দ্বিগুণভাবে সমর্থন করেছে—যদিও সরকার তখন আমাদের বিরোধী ছিল। যাওয়ার আগে বিল মোলার বলে গেলেন। তখন উনি সঙ্গে সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, আমেরিকা আবার ভুল বুঝতে পেরে ৪ এপ্রিল স্বাধীনতার পর পরেই অনেক দেশের আগে আমাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।