
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মনোনয়পত্র জমা পড়েছিল ৩ হাজার ৬৫টি। এর মধ্য থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছায়ে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আজ ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপীল দায়ের করতে পারবে।
মনোনয়নপত্র বাতিল প্রার্থীরা বিকেল পাঁচটার মধ্যে প্রার্থী নিজে অথবা লিখিতভাবে তার ক্ষমতা প্রদত্ত অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছ আবেদন করতে হবে।
আপিল স্মারকলিপি আকারে এবং মনোনয়নপত্র গ্রহণ বাতিলের তারিখ, আপিলের কারণ এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের একটি সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে। আপিলের মূল কপিসহ সাত কপি জমা দিতে হবে।
প্রার্থীদের এই আপিলের প্রেক্ষিতে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলকৃত আপীল শুনানীপূর্বক নিষ্পত্তি করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন বা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাদের বাতিল হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে পারবে এটা আইনে বলা আছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ধারা ১১ এবং বিধিমালা ৫ এ এই আপিলের ব্যাপারে বিস্তারিত বলা আছে।
তিনি আরও বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মনপুতঃ না হলে সংক্ষুব্ধরা আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। সেখানেও যদি তিনি সন্তুষ্ট না হন, তাহলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতেও যেতে পারবেন।
অর্থাৎ, ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা বৈধ প্রার্থীর স্বীকৃতি না পেলে পরে হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হতে পারবেন।










