বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটানিং কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তা বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। মির্জা আব্বাস ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
এর আগে মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ। একই সঙ্গে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসির আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত।
গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে থাকা মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার মনোনয়নপত্র বাছাই সম্পন্ন করতে আদেশে বলা হয়।
একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকা-৯ আসন থেকে মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে না পাঠিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে রেখে দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
মির্জা আব্বাসের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৮ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ের পর ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার সমর্থকরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করা হয়।
সমর্থকদের অভিযোগ, মির্জা আব্বাসের ছবি দেখেই শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা নিতে গড়িমসি করেন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
তবে নির্বাচনী কর্মকর্তারা দাবি করেন, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় তা জমা নেয়া সম্ভব হয়নি।