একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় পার্টি ও বিকল্পধারার প্রার্থী থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মমতাজ বেগম। এ ক্ষেত্রে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল ইসলাম খান শান্ত।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ও হরিরামপুর উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৬ হাজার ১৬১। পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি ১ হাজার ৮০২ জন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এস এম আব্দুল মান্নান। সেসময় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন মমতাজ বেগম। তারই ধারাবাহিকতায় মমতাজ বেগমকে এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয়।
কিন্তু জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এস এম আব্দুল মান্নান এবং বিকল্পধারার পক্ষ থেকে সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। মনোনয়ন পাওয়ার পরেই তারা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিজ এলাকাসহ ভিন্ন জায়গায় করছে গণসংযোগ।
ভোটাররা মনে করছেন, মহাজোট থেকে এই দুই প্রার্থী নির্বাচন করায় কিছুটা হলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী মমতাজ বেগমের ভোট কমবে।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের একক প্রার্থী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম খান শান্ত। শান্ত ২০০৩ সালে তার বাবা সাবেক শিল্পমন্ত্রী শামসুল ইসলাম খান নয়া মিয়ার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে তাকে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। একক প্রার্থী থাকায় তিনি একটু সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন বলে মনে করেন ওই নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।