আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই। জামায়াতের প্রার্থী যাদের বলা হচ্ছে, তারা শুধু ধানের শীষ প্রতীকের নয়, তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী।
বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করছেন তারা। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ তাদের দেয়া হয়েছে। জামায়াত তাদের মনোনীত করেনি। বিএনপি মনোনীত করেছে।
বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
নির্বাচন ভবনে আদালত কর্তৃক সাময়িক স্থগিত হওয়া বিএনপির প্রার্থীদের আসনে নির্বাচন স্থগিত অথবা প্রার্থিতা পরিবর্তনের সুযোগ চেয়ে শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সিইসির কাছে চিঠি দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, বিজনকান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া জামায়াত নেতাদের পদ-পদবি তাদের দলীয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন বলেন, ওয়েব সাইটে পদ-পদবি থাকুক। আপনারাও যদি আমাদের কাছে মনোনয়ন চান, আমরা দিতে পারি। কোনো ওয়েবসাইটে আপনার নাম কীভাবে আছে সেটা পরের ব্যাপার। আমরা আইনের মাধ্যমে দিতে পারি কি-না সেটা হলো বিষয়। জামায়াত কোনো নিবন্ধিত দল নয়।
তিনি বলেন, কারা কারা জামায়াত করে সেই তালিকাও আমাদের কাছে নাই। আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, তারা আমাদের দলের প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছে। এটা যদি অবৈধ হতো তাহলে নির্বাচন কমিশন আগেই বলত- তাদের প্রার্থিতা অবৈধ। তাদের যদি প্রতীক দেয়া বেআইনি হতো, যখন প্রতীক বরাদ্দ করা হয় তখন নির্বাচন কমিশন কেন প্রতীক বরাদ্দ করল। আওয়ামী লীগ সব সময় বলে নির্বাচন কমিশন যা করে তাই আমরা মেনে নিব, বাধা সৃষ্টি করব না। এখন কেন আওয়ামী লীগ ইসির কাজে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আদালত ১২-১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব আসনের নির্বাচন স্থগিত রেখে আবার নির্বাচনের দাবি করছি। অথবা এসব আসনে আমাদের প্রার্থী পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হোক। নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বৈধতা দেয়ার কারণেই তাদেরকে আমরা মনোনীত করেছি। কমিশন যদি সেই সময় অবৈধ ঘোষণা করত আমরা অন্য প্রার্থী দিতাম।