রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গাইবান্ধা-৩ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তাই আগামীকাল ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সবাই তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এবার ভোট দিতে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় প্রত্যেক ভোটারকে এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় আপনি সঙ্গে করে যা যা নিয়ে যেতে পারবেন-
ভোট প্রদান করার জন্য অবশ্যই ভোটের স্লিপের প্রয়োজন পড়বে। অতএব ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগে আপনাকে ভোটের স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস অথবা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে আগে না পেয়ে থাকলে নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশের আগেও নিয়ে নিতে পারেন।
অনেকেই মনে করেন জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ভোট প্রদান করা যাবে না। এটা একদমই ভুল ধারণা। জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না থাকলেও ভোট প্রদান করা যাবে। তবে ইভিএমে ভোট দিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়াই উত্তম। তা না হলে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট প্রদান করতে হবে।
ভোটার অসুস্থ বা শারীরিক প্রতিবন্ধী হলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাতে ঝামেলায় পড়তে না হয় সেই লক্ষ্যে সহযোগী সঙ্গে নিতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে সহযোগীর সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। তবে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল, ব্যাগ কিংবা বিস্ফোরক ও দাহ্য কোনও পদার্থ নিয়ে যাওয়া যাবে না। তবে মোবাইল নিলেও তা বন্ধ রাখতে হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ৬টি আসনে এবার ভোটগ্রহণ হবে। ইভিএম ব্যবহৃত কেন্দ্রগুলো হলো-ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২।
বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল নিয়ে গঠিত বিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিরোধিতার মধ্যেই গত ২৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দেয় যে এবার ছয়টি আসনের ৯০০ ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এসব কেন্দ্রে সনাতন ব্যালট পেপার পদ্ধতিতে ভোট দেওয়া যাবে না। ভোটগ্রহণ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইভিএমে ভোট গণনা ও ফলাফল পাওয়া যাবে।