জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামেকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। পরে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স সংসদ ভবন চত্বরে আনা হয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জানাজায় রাষ্ট্রপতি ছাড়াও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।
এদিকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের জনতার ঢল নেমেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন এই জানাজায়।
সংসদ ভবনে প্রথম জানাজা শেষে হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দুপুর ১২টায় শোলাকিয়া ঈদগাহে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় জানাজা বেলা ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টারযোগে কিশোরগঞ্জ থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ ফের ঢাকায় আনা হবে। বিকেলে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফ চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন।
বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ মারা যান। শনিবার (৫ জানুয়ারি) তার মরদেহ দেশে আনা হয়।
এরপর শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর বেইলি রোডে সৈয়দ আশরাফের সরকারি বাসভবনে আনা হয়।
সেখানে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন আত্মীয়-স্বজন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে রাতেই মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে নেয়া হয়।