সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্যের ক্রম উন্নতি হচ্ছে। চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বাভাবিক তিনি কথা বলছেন। সোমবার (১১ মার্চ) তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হতে পারে।
ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা সমন্বয়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক এবং নিওরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. আবু নাসার রিজভী রবিবার (১০ মার্চ) সকালে এ তথ্য জানান।
এর আগে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি মন্ত্রী কাদেরের চিকিৎসার সর্বশেষ অগ্রগতি পরিবারের সদস্যদের জানান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে ডা. আবু নাসার রিজভীর আলাপের সময় ওবায়দুল কাদেরের সহধর্মিনী বেগম ইসরাতুন্নেসা কাদের, ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবু নাছেরের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার (৯ মার্চ) জানানো হয়, সকালে ওবায়দুল কাদেরের শ্বাসনালীর নল খোলা হয়েছে। তার রক্তচাপ স্বাভাবিক, হৃদযন্ত্র ও কিডনি কার্যক্ষম রয়েছে। ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এছাড়া নিওরোলজিক্যাল কোনো সমস্যাও নেই।
উল্লেখ্য, রবিবার (৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে ভর্তি করা হয় সরকার ও আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্রকে। সেখানে চিকিৎসকরা তার শরীর চেকআপ করেন। পরামর্শ দেন দ্রুত এনজিওগ্রাম করার। এনজিওগ্রাম করার পর ৩টি ব্লক ধরা পড়ে। একটি ব্লক খুলে রিং পরানো হয়। এরপর উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
ওইদিন রাতেই বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিতে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পৌঁছায়। সঙ্গে এসেছিলেন সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও দুই সেবিকা।
পরের দিন সোমবার দুপুরে বিশ্বের অন্যতম সেরা হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র বেঙ্গালুড়ু নারায়না ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস’র প্রতিষ্ঠাতা ও উপমহাদেশে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি বিএসএমএমইউ’তে কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। তার পরামর্শেই ওইদিনই ওবায়দুল কাদেরকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।