বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের নির্বাচিতদের শপথ না নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সোমবার রাতে (২২ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য, “তারা নির্বাচনকে প্রত্যাখান করে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করেছে। তাই সংসদে গেলে নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া হবে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, দলের নির্বাচিতদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেয়ার ব্যাপারে বিএনপির আগেই সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিতে আগ্রহী গণমাধমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে সিনিয়র নেতাদের মতামত জানতে চান। এসময় স্থায়ী কমিটির নেতারা শপথ না নেয়ার পক্ষে মত দেন।
তিনি জানান, সবার মতামতে ভিত্তিতে শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল বিএনপি। দু-এক দিনের মধ্যে নির্বাচিত ছয় এমপিকে গুলশান কার্যালয়ে ডেকে তা তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
দলের সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াইকে আরও গুরুত্ব দেয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, তার চিকিৎসা এবং তার মামলা নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কোনো সমস্যা আছে কি না– তা খেয়াল রাখার জন্য সিনিয়র আইনজীবীদেরকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়ার বিষয়ে কথা হয়।