সরকার নয় জনগণের চাপেই বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন: সুযোগ থাকলেও প্রতিপক্ষ দল ভাঙার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করবে না। আওয়ামী লীগ বরং তৃণমূল থেকে নিজেদের দল গঠনে মনোযোগী হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রুনাই সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে এখনও কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি।
দেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের শঙ্কা থাকলেও সরকার ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না বলেও জানান তিনি।
ব্রুনেই দারুস সালামের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি আর ৫৩ সদস্যের ব্যবসায়ী দল নিয়ে ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ব্রুনেই সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরের বিস্তারিত জানাতেই গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন।
লিখিত বক্তৃতার শুরুতেই শ্রীলংকায় নিহতদের স্মরণ করার পাশপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন: বাংলাদেশের ভালো সময়ে আঘাতটা আসে। এক্ষেত্রে তিনি জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
‘‘আমি ব্রুনাইয়ের রাজধানীতে পৌঁছানোর পর এই মর্মান্তিক হামলার খবর শুনতে পাই। আমাদের প্লেনটা যখন আকাশে উড়ছিল তখন খবর আসলো এ ধরনের হামলা হয়েছে। পরবর্তীতে ওখানে নেমে বিস্তারিত খবরটা পাই। জায়ানের মৃত্যুর খবর পাই। এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে একটি শোক বার্তা পাঠাই। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে কার্যকর এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন ইস্যুতে ব্রুনেই বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন: এক্ষেত্রে বরং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর অনীহা রয়েছে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইস্যুগুলো নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবও দেন সরকার প্রধান।
অন্য দল ভাঙার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না দাবি করে তিনি বলেন: কোনো দল ভাঙা, আমার নীতি না। প্রস্তাব আমরা অনেক পাই, কিন্তু ওসবের মধ্যে যাব না। যার যার দল, সে সেই করুক। আওয়ামী লীগের যথেষ্ট লোকবল আছে। আমার নতুন লোকবলের দরকার নেই। আওয়ামী লীগ একাই একশো।
এ সময় তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন এবং নিজের ‘অবসর’ ভাবনা নিয়ে ওঠা প্রশ্নেরও উত্তর দেন শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে দলই পরবর্তী নেতৃত্ব ঠিক করবে জানিয়ে তিনি বলেন: আমি একসময় অবসরে চলে যাবো। তখন দলে নতুন নেতৃত্ব আসবে। তবে কে নেতৃত্বে আসবেন তা ঠিক করবে দল। আওয়ামী লীগ ঠিক করবে দলের নেতৃত্ব দেবেন কে। সেটা আমি ঠিক করবো না।
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি ও শপথ নেওয়ার ইস্যুতে তিনি বলেন: বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আদালত দুর্নীতির কারণে তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাও আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। ১০ বছর আগে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।