একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (১১ জুন) থেকে। এই অধিবেশনে যোগ দিয়ে জাতীয় ইস্যু নিয়ে কথা বলতে দলীয় সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মামলার বিভিন্ন দিক ও তার মুক্তির বিষয় নিয়ে কথা বলতে হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে স্কাইপে যোগ দেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সংসদ অধিবেশন নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। যেন আমরা সবাই ঠিক থাকি, সবকিছুর ঠিকঠাক জবাব দিতে পারি, নিয়মিত অধিবেশনে যোগ দিই—এসব ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দল থেকে।’ তিনি বলেন, ‘সংসদে যোগদানের সুযোগের কীভাবে সদ্ব্যবহার করতে পারি, সে বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদে বক্তব্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। এছাড়া বাজেট অধিবেশনের বিষয় অনুযায়ী, বিভিন্ন খাতে সরকারের অনিয়মের বিষয়টিও তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের অনিয়মের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সংসদ সদস্যদের সাহায্য করবেন কেন্দ্রীয় কমিটির স্ব স্ব বিষয়ক সম্পাদকমণ্ডলীর নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘তারেক রহমান আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিষয়কভিত্তিক সম্পাদকদের সরকারের বিভিন্ন সেক্টরের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছেন। যেমন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবেন। সেই প্রতিবেদন সংসদ সদস্যরা সংসদে তুলে ধরবেন। এ রকম সব সম্পাদককে ছায়ামন্ত্রীর মতো প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
অধিবেশনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা সংসদে যোগ দেবো।’
বিএনপির সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে কোন বিষয় প্রাধান্য পাবে—জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার আমরা আবার বসে ঠিক করবো, কোন বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া যায়। তবে খালেদা জিয়ার বিষয় তো থাকবেই।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কিমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সংসদ সদস্যদের মধ্যে ছিলেন—উকিল আব্দুস সাত্তার, মো. হারুনুর রশীদ, মো. জাহিদুর রহমান, মো. আমিনুল ইমলাম, মোশারফ হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।