সম্প্রতি সংসদে রূপপুরে পারমানবিক প্রকল্পের একজন প্রকৌশলী মাসুদুল আলম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যকে অসত্য বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই প্রকৌশলী কখনো ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত ছিল না বলেন দাবি করেন তিনি।
শনিবার রাতে রাজধানী গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শেষে এ কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটা বক্তব্য রেখেছেন। সেই বক্তব্যে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, ওই প্রকৌশলী ছাত্রদলের বুয়েটের ভিপি ছিলেন। এটা মিথ্যা, একেবারে একটা অসত্য কথা তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন। একজন প্রধানমন্ত্রী যখন এরকম অসত্য বক্তব্য দেন সেটা অপ্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে প্রকৌশলী মাসুদুল হক বুয়েটের ছাত্র নন। তিনি খুলনার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েটের ছাত্র।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা তার সব ডাটা সংগ্রহ করেছি। সে কুয়েটের একেএম ফজলুল হকের ২৬ নম্বর রুমের। সে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। তার রোল নম্বর ৯২১৩৫। সে কোনো দিনই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সম্ভবত সে বাম কোনো ছাত্র সংগঠনের সাথে। সে এখন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলীর সাথে জড়িত। এ রকম একটি অসত্য তথ্য সংসদকে দেয়া এটা সংসদের বিরুদ্ধে। আমরা মনে করি এরকম বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর জন্য কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা অনভিপ্রেত।’
এদিকে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আগামী এক মাসের মধ্যে এই কর্মসূচি পালন হবে। তবে কী কর্মসূচি তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ কী ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিছিল-সমাবেশ জাতীয় কর্মসূচি পালন করা হবে।’
বয়সসীমা প্রত্যাহার করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির বয়স্ক নেতাদের দাবি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ওপর বিদ্রোহী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলায় নিন্দা প্রকাশ করেন তিনি।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে জে (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান প্রমুখ।