বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার জামিন আবেদনের ওপর চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহে শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ কথা জানান।
এদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জামিন আবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এ মামলায় সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট এ মামলার নথি তলব করেন।
হাইকোর্ট জানান, নথি আসার পর এ মামলার জামিন আবেদন শুনানি করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিচারিক আদালত এ মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠিয়েছেন। এ কারণে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন শুনানির জন্য আজ হাইকোর্টের নজরে আনেন।
এ মামলায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। ওই রায়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করলে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং নিম্ন আদালতকে নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।