রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির(জাপা)চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চোখ মেলে তাকিয়েছেন। তার নতুন করে আর কোনো সংক্রমণ হয়নি বলে জানিয়েছেন দলের কো- চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাপার চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ‘এরশাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নিয়মিত’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
জিএম কাদের বলেন, ‘উনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে আমি আলাপ করেছি। উনাকে দেখে আগের তুলনায় ভালো লাগছিল। কিছুটা মাথা নাড়ছিলেন। চিকিৎসকরা বললেন, উনাকে যে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয় সেটার মাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ডাকলে কিছুটা সাড়া দিচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সামনেই উনাকে ডাকা হলে চোখ খুলে আমার দিকে তাকিয়েছিলেন। উনার যে ফুসফুসের ইনফেকশন এবং ইউরিনের ইনফেকশন ছিল সেটা কমে এসেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে এখনো কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করছে না। উনি এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। তবে অবনতি হয়নি। সেদিক দিয়ে উনি ভালো আছেন।’
এর আগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবং সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা (এমপি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক হাসান আরেফিন এবং বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক সৈয়দ আখতারুজ্জামান সিদ্দিকী লাবলুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি সাংবাদিকদ্বয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সমাপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। মসিউর রহমান রাঙ্গা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোগমুক্তি এবং সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজব এড়িয়ে চলতে গণমাধ্যমকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য- এস.এম. ফয়সল চিশতী, মোঃ আজম খান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা- মেজর (অব.) আশরাফ উদ দৌলা, ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান- অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম ওমর, হাসিবুল ইসলাম জয়, সুলতান আহমেদ সেলিম, সম্পাদক মন্ডলী- মোঃ শামসুল হক, মোঃ ইসাহাক ভূঁইয়া, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. হেলাল উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, এম.এ. রাজ্জাক খান, মো. হুমায়ন খান, মো. গোলাম মোস্তফা, রেজাউল করিম, আবু সাঈদ স্বপন, মিজানুর রহমান মিরু, কেন্দ্রীয় নেতা- এম.এ. সালাম, আব্দুস সাত্তার, শেখ মোহাম্মদ আলী, সোলায়মান সামি, মো. মিন্টু, আল মনির, ছাত্রসমাজের সদস্য সচিব- ফয়সাল দিদার দীপু।