বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যারা ক্ষমতার লোভে পেট্রোলবোমার রাজনীতি করে সাধারণ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতির জন্য বড় হুমকি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের জনগণের ভালো চায় না- এটা জনগণ জানে বলেই তাদেরকে এখন আর মানুষ ভোট দেয় না।’
বুধবার (১০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সাংবাদিকতা রাতবিরাতে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহামুদ বলেন, ‘উন্নয়নের কথা বলে যদি টাকা হাতিয়েই নেয়া হতো তাহলে দারিদ্র্যের হার কীকরে কমলো? আসলে কোনও অর্জনই বিএনপির ভালো লাগে না, উন্নয়ন দেখলেই গাত্রদাহ শুরু হয় তাদের।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আপনি (মির্জা ফখরুল) আয়নায় নিজের চেহারা দেখেন। আপনারা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরির্বতন করেছে, দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তা দেখে আপনাদের ভালো লাগে না। আসলে কোনও অর্জনই বিএনপি সহ্য করতে পারে না।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশের গণতন্ত্র অচল- বিএনপির এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান বলেন, ‘যারা দেশের কথা ভাবেনি, তারা এখন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে আছে। তারা দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে কিভাবে, কোন মুখে? তবে আপনারা সরকারের সমালোচনা করেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনও সরকার শতভাগ নির্ভুল হতে পারে না। তাই সমালোচনাও দরকার।’
গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই জরুরি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম এখন বহুমাত্রিক। গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে গণমাধ্যম খুবই জরুরি। গত ১০ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ হয়েছে। অনলাইনের জন্য ৮ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ৯ কোটির বেশি মানুষ সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। এর ভাল দিক যেমন আছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে। সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজবও ছড়ানো হচ্ছে। এটিকে কিভাবে শৃঙ্খলায় আনা যায় তা ভাবতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, প্রধানমন্ত্রীর স্পিস রাইটার মো: নজরুল ইসলাম প্রমুখ।