বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি ও অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দাঁতের চিকিৎসার জন্য দন্ত বিভাগে নেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ দেড় বছর যাবত কারাবন্দি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কেবিন ব্লক থেকে দন্ত বিভাগে নেয়া হয়। এর আগে গত ১২ জুন তার মুখে ঘা এর জন্য দন্ত বিভাগে নেয়া হয়েছিল।
সে সময় ধারালো দাঁতগুলো ভোতা করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। আবারো জিহবায় ঘা হয়ে গেছে। এজন আজ দুপুরে কেবিন ব্লকের কক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নামিয়ে ‘এ’ ব্লকে ডেন্টাল ইউনিটে আনা হয়। পরে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় চতুর্থ তলায়।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিএনপি প্রধানকে হাসপাতালটির ডেন্টাল ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের আনসার ও রমনা বিভাগের পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় হুইল চেয়ারে করে তাকে কেবিন ব্লকে আনা হয়। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য নেয়ার সময় রোগী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বয়স জনিত কারণে তার দাঁতগুলো ধারালো হয়ে গেছে। এর আগে ওরাল অ্যান্ড ম্যক্সিলোফিসিয়াল বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. মাহমুদা আক্তারের কাছে নেয়া হলে তিনি খালেদা জিয়ার দাঁতগুলোকে ভোতা করে দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। এ রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। বিএসএমএমইউ-তে স্থানান্তরের আগে তিনি সেখানেই বন্দি ছিলেন।
৭৪ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। গত ১ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে এখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। দলের প্রধান গুরুত্বর অসুস্থ জানিয়েছে তাকে দেশে বিশেষায়িত্ব হাসপাতালের চিকিৎসার দাবি করে আসছে বিএনপি।