বাংলাদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘুদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সংখ্যালঘু কমিশন বা মন্ত্রণালয় থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তিনি বলেন, ‘অর্পিত সম্পত্তি আইনসহ সংখ্যালঘুদের অনেক দাবি দাওয়া রয়েছে। এগুলো কমিশন কিংবা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার (২৪ আগস্ট) শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় জি এম কাদের এ সব কথা বলেন। শ্রী কৃষ্ণ সেবাসংঘ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনাসভার প্রধান অতিথি জি এম তাদের বলেন, ‘সব ধর্মের মূল উদ্দেশ্য হলো এক। তা হলো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। যে যত ধার্মিক সে তত অসাম্প্রদায়িক। বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িকতা নেই। সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী আছে যারা নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে।’
কাদের আরও বলেন, ‘একদিকে মসজিদ অন্যদিকে মন্দির। একদিকে নামাজ হচ্ছে অন্যদিকে মন্দিরে পুজো হচ্ছে এরকম অসংখ্য নজির বাংলাদেশে আছে। তারপরও দুঃখ হয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করার দাবি উঠেছে এটি লজ্জাজনক।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, তপন কুমার পাল, আকাশ কুমার, চিত্তরঞ্জন দাশ। সভাপতিত্ব করেন নকুল চন্দ্র সাহা।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের কথা বলা উচিৎ নয়। বাংলাদেশের কথা বলা উচিৎ রোহিঙ্গা ইস্যুতে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অভিশাপের মধ্যে আছে।’