জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে নানামুখী বিচার-বিশ্লেষণ করে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য উপায় খুঁজছে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা।
আজ শনিবার সংগঠনটির কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সভাপতি পদে ৯ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রার্থী হয়েছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের আদেশের পর রাতে জরুরী সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আদালতের স্থগিতাদেশের জন্য সরকারকে দায়ী করেন।
শুক্রবার দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এজন্য সরকারকে দায়ী করেন।
ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘ছাত্রদলের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত হওয়া কাউন্সিলের বিষয়ে ছাত্রদলই তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের বিরুদ্ধে আদালত যে নোটিশ দিয়েছেন, যথাসময়ে সেটার জবাব আমরা দেব।’
ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে কাউন্সিলের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।’
এদিকে দলের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রদলের কাউন্সিলে স্থগিতাদেশের বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। প্রয়োজনে এ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।