‘ক্যাসিনো কিং’, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আদালতে তোলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলার শুনানি চলছে। এদিকে, আদালতের বাইরে তার সমর্থকরা মুক্তি চেয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা সম্রাটের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটায় সম্রাটকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত অস্ত্র আইন ও মাদক আইনে করা পৃথক দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিএমএম আদালতের প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভরত সম্রাটের সমর্থকদের বের করে দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশ আদালতের প্রধান ফটক আটকে দেয়। বিক্ষোভকারীরা পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। ‘সম্রাট ভাইয়ের মুক্তি চাই’, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
গত ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এরপর ওই দিন বিকেলে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে মাদক, অস্ত্র ও ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করে র্যাব। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে ৬ মাস কারাদণ্ড দিয়ে কেরানীগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটকে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে রমনা থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
এরপর কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থবোধ করায় সম্রাটকে গত ৮ অক্টোবর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানোপূর্বক ২০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত না করায় ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড শুনানি জন্য ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার)দিন ধার্য করা হয়।
চিকিৎসা শেষে সম্রাটকে গত ১২ অক্টোবর ফের কারাগারে পাঠানো হয় সম্রাটকে।