বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৩৭টির মধ্যে ৩৫টি মামলায় জামিনে আছেন। বাকি দুই মামলার জামিন হলেই মুক্তি মেলার কথা। যদিও ২১ মাসের আইনি লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে খানিকটা হতাশ তার আইনজীবীরা। তবু আইনি লড়াইয়েই দলের প্রধানকে মুক্ত করার আশা করছেন আইনজীবীরা। দ্রুত মুক্তি না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের। তিনি জানান, মুক্তি পেলে তিনি দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারেন।
কারাগারে অসুস্থতা বাড়তে থাকায় চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। টানা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ভর্তি আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
দিন দিন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বাড়ছে এবং তিনি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে বারবার দাবি করে আসছেন বিএনপি নেতারা। যদিও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে একমত নয়।
সম্প্রতি, খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে দেখা করে এসে তার জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের দাবি, তিনি ক্রমেই অচল হয়ে পড়ছেন। সুচিকিৎসা না পাওয়া মানে, মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া।
তার আইনজীবীর দাবি, একই ধরনের মামলায় অভিযুক্তরা জামিন পেলেও রাষ্ট্রীয় প্রতিহিংসায় কারাবাস করছেন খালেদা জিয়া।
মামলার জাল ছিঁড়ে বেরুতে না পারলে, তার ভবিষ্যত অনিশ্চিত বলে মনে করেন তার আইনজীবী ও চিকিৎসকরা।