বাংলাদেশ এবং আজারবাইজান দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভের মধ্যে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সেখানকার প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর আজারবাইজানের দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আল্লামা সিদ্দিকি সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, ‘দুই নেতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং আজারবাইজানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।’
প্রায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘দুই নেতা বাংলাদেশ এবং আজারবাইজানের মধ্যকার ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের বিষয়ে আলোচনা করেন। এটি ছিল দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হিসেবে আজারবাইজানের সহযোগিতার কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এ সময় ১৯৯২ সালে নতুন দেশ হিসেবে আজারবাইজানের প্রতি বাংলাদেশের সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন প্রেসিডেন্ট এলিয়েভ।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যুতে নৈতিক এবং বৈষয়িক সহযোগিতা প্রদানের জন্য আজারবাইজানের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
দুই নেতাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামীতে আজারবাইজানে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রটি আরও প্রসারিত হবে।
বাংলাদেশের কৃষি খাতের চমকপ্রদ সাফল্যের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোও এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এলিয়েভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এত বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে এলিয়েভ তা সাদরে গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা ভবিষ্যতে আজারবাইজানে বাংলাদেশের একটি অফিস খোলার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সাংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ১৮তম ন্যাম সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে আজারবাইজানে রয়েছেন।