মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা কাজী রায়হান উদ্দিন টুকু (৫০) হাইকোর্টে জামিন নিতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে দুপুরে মানিকগঞ্জের একটি বিস্ফোরক মামলায় জামিন নিতে দলীয় নেতাকর্মীসহ হাইকোর্টে যান টুকু। সেখানেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মৃত্যুকালে কাজী রায়হান উদ্দিন টুকুর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা যুবদলের সভাপতি ছাড়াও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান জানান, দুদিন আগে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানায় কাজী রায়হান উদ্দিন টুকুসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি গায়েবি মামলা হয়। মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মাখনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, এ মামলার আগাম জামিন নিতে কাজী রায়হান উদ্দিন টুকুসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী রোববার সকালে হাইকোর্টে যান। সেখানে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা অবস্থানকালে টুকু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৭টার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।