বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ভালো থাকলেও মানুষে মানুষে এখনো দূরত্ব রয়ে গেছে। ফেনী নদীর পানি, তিস্তা চুক্তি ও এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মনে বিরূপ মনোভাব রয়েছে। এ দূরত্ব কমিয়ে আনা দরকার।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ত্রিপুরা রাজ্যের স্পিকার রেবতি মোহন দাসসহ ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে সার্ক কালাচারাল সোসাইটির পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সার্ক কালচারাল সোসাইটির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার বিজেপির বিধায়ক আশীষ কুমার সেন, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সার্ক কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সুজন দে।
জি এম কাদের বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ে ভারতের যে সমস্যা ছিল তা মিটে গেছে। তাদের নির্মূল করা হয়েছে। এখন দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ফেনি নদীর পানি ভারত নিলে এদেশের মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আবার এনআরসি নিয়েও বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে আতংক রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এনআরসি আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেনি।’
ভারত আমাদের তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছে না উল্লেখ করে বিরোধী দরীয় এ নেতা বলেন, ‘এটা নিয়েও জনমনে ক্ষোভ রয়েছে। এভাবে মানুষে মানুষে যে মানসিক দূরত্ব রয়েছে তা দূর করা প্রয়োজন। এক দেশ আরেক দেশের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। সম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় করতে হবে।’
ত্রিপুরা রাজ্যের স্পিকার রেবুতি মোহন দাস বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে আমাদের সমর্থন দিয়ে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও অনেক দিনের। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে আমাদের ভুখণ্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই সময় কয়েক লাখ মানুষ আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছিল।’ আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছি এবং থাকবো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।