ভারতের নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের (পুশ ইন) বিষয়টি সম্পর্কে এখনো সরকারিভাবে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তবে তিনি বিষয়টি পত্রপত্রিকায় দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
গত এক মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দুই শতাধিক লোক বিজিবির হাতে আটক হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে। সেখানে বলা হয়, এনআরসি আতঙ্কে ভারতীয় এসব নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুশ ইনের খবর মিডিয়া থেকে শুনছি, এখনো সরকারিভাবে জানি না। পত্রপত্রিকায় যা বের হয় এর কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা আর কিছু অতিরঞ্জিত। আমাদের জানতে হবে। পুরোপুরি ইস্যুটা বুঝতে হবে। সরকারিভাবে জানলে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব।’
সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঠিক বুঝি না, এনআরসির আতঙ্কটা আমাদের হবে কেন? এনআরসির তালিকা করতে প্রায় ৩৪ বছর লেগেছে। এখনো অনেক প্রক্রিয়া বাকি আছে। আর ভারতীয় সরকার বারবার আমাদের ওয়াদা দিয়েছে, ভারতের এনআরসি তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা বাংলাদেশে কোনোভাবেই প্রভাব ফেলবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পত্র পত্রিকায় দেখছি, কিছু লোকজনকে ভারত পুশ করছে অথবা এনআরসির ভয়ে তারা আসছে। আমি জানি না কেন। এটা নিয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা করতে হবে। তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে ছোটখাটো দেন দরবার লেগেই থাকে। সুখবর হচ্ছে, আমাদের বড় বড় ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে মোটামুটি শেষ করেছি। শুধু শেষ করেছি নয়, অত্যন্ত পরিপক্কভাবে সামাধান হয়েছে।’
সীমান্ত থেকে লোকজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘না জানলে আমরা কীভাবে বলব।’ বিজিবির কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা নজরে আসে। ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে এ মাসের ১০ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত অন্তত ২০৩ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এ ছাড়া গত রোববার বেনাপোলের গাতিপাড়া সীমান্তের আমবাগান থেকে পুলিশ ৩২ জনকে আটক করেছে।