যারা ১৯৯৬ সালে ১৫ ফ্রেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছিল, তাদের মুখে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ না ভোট কিংবা ৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় কথাই ছিল ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠাণ্ডা। এছাড়া আওয়ামী লীগের যা কিছু অর্জন, সব সংগ্রামের মধ্য দিয়েই হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ দুপুর সোয়া ১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যখন বিএনপি নেতারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে, বা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলে- তাদের আমি এটাই মনে করিয়ে দিতে চাই যে তাদের নেতা জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ না ভোট এবং তার যে নির্বাচন অথবা ৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। কেমন নির্বাচন তারা করেছিল। সেখানে কোথায় ভোটার, কোথায় নির্বাচন। জনগণ তো স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। তখন কথাই ছিল ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠাণ্ডা। ঠিক তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল জেনারেল এরশাদ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই অবস্থা আমরা পরে আবার দেখি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। খালেদা জিয়াও সেই একই পদাঙ্ক অনুসরণ করে। কাজেই ১৫ ফ্রেব্রুয়ারির নির্বাচন ৯৬ সালে যারা করেছিল, তাদের অন্তত নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা শোভা পায় না।’
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে থেকে আসা নেতাকর্মীদের পদচারণায় ও স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ বিভক্ত হওয়ার পরে এটাই প্রথম সম্মেলন। তাই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের দলের প্রতীক নৌকার আদলে।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন হবে বেলা ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। সেখানেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। চলমান শুদ্ধি অভিযান মাথায় রেখে এ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ।