বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই দানব সরকারকে সরাতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে, এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ। আমি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই হতাশার কথা বলেন। হতাশাই শেষ কথা নয়। মনে রাখতে হবে, অন্ধকারের পরেই আসবে নতুন ভোর।’
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের রোল মডেলের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন যেটা দাঁড়িয়েছে তারা এখন সন্ত্রাসের রোল মডেল, তারা আজকে নারী ধর্ষণের রোল মডেল, দুর্নীতির রোল মডেল। তারা আজ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিচ্ছে।’
‘টাকা বানানো একটা ব্যাধ’- প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেই ব্যাধিতে তো আপনারাই বেশি আক্রান্ত হয়ে গেলেন। আপনার সোনার ছেলেদের এখন ধরে ধরে আনতে হচ্ছে, তাদেরকে বলার চেষ্টা করছেন, তোমরা এখন ভালো হয়ে যাও।’
তিনি বলেন, ‘এদেশে কেউ এখন নিরাপদ না। যারা একটু শারীরিকভাবে দুর্বল তারা বেশি অনিরাপদ। দু-মাসের শিশু থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বৃদ্ধ অথবা তরুণ-যুবক, বাবা, ভাই, কেউ কিন্তু এখানে নিরাপদ না। বাংলাদেশ আসলে এখন একটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে। সারা বাংলাদেশে আজ প্রতিদিনই নারী ও শিশুর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমাজকে বিভক্ত করে ফেলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ। সমাজকে পুরোপুরিভাবে দূষিত করে ফেলেছে। চতুর্দিকে তাকালেই দেখা যাবে বিভক্তি। এই বিভক্তিটা ভয়ংকরভাবে সমাজের মধ্যে চলে গেছে। সেই ভয়ে, ত্রাসে কেউ কথাও বলতে চায় না।’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও নির্বাহী কমিটির সাদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।