পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এরপর বেলুন-ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. নাসিম।
জেলার এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্রগুলো।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলন চলছে- রাজশাহী বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। এরই মধ্যে মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা মেরিনা জাহান, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগ সম্পাদকমণ্ডলীর উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান খান। বক্তা হিসেবে রয়েছেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ও রাজশাহীর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আনজুম আদিবা মিতা।
এর আগে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রোববার (৮ ডিসেম্বর) আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। টানটান উত্তেজনা থাকায় গেলবার কেবল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেই চলে যান কেন্দ্রীয় নেতারা।
এবার উত্তেজনার সেই পারদ উঠেছে আরও ওপরে। তাই সম্মেলনকে ঘিরে এরই মধ্যে অনেক জল্পনা-কল্পনা ডালপালা মেললেও শেষ পর্যন্ত কী হতে যাচ্ছে তা জানেন না কেউই। যদি ব্যালটে নেতা নির্বাচিত হয় তাহলে মোট ৩৬০ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।