জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
এর আগে সকাল ১০টার কিছু সময় পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। শুনানিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের চারপাশে ও সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়।
সর্বোচ্চ আদালতের প্রতিটি প্রবেশপথে ব্যাপক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিচয়পত্র দেখে প্রত্যেককে সুপ্রিম কোর্টের ভেতর প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টসহ আশপাশের এলাকায় মানুষের নিরাপত্তায় পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। প্রস্তুত রাখা হয় জলকামান।
খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আপিল বিভাগে তাঁর শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে গতকাল পৌঁছয়।
গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদন চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা আদালতে আসার কথা ছিল। তবে তা নির্ধারিত দিনে আদালতে না আসায় জামিন শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার কারণে ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে ব্যাপক হট্টগোল করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।