বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের পরিচালনার অজ্ঞতার কারণে বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেলে অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘এ কারণেই সাংবাদিকসহ কলাকুশলীরা বেকার ও চাকুরিচ্যুত হচ্ছেন।’
আজ বুধবার সন্ধ্যায় সাভারে রেডিওকলোনী মডেল স্কুলের তিন দশক পূর্তি ও পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ডা.মুরাদ হোসেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লাইন্সেস নেওয়ার আগে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের অনেকেরেই পরিচালনাগত অভিজ্ঞতা ছিল না। আজ টেলিভিশন পরিচালনায় যারা ব্যর্থ, লাইন্সেস নেওয়ার আগে তারা কি তখন বুঝে নিয়ে ছিলেন?’
একটি টেলিভিশন চ্যানেল কীভাবে পরিচালনা করতে হয় সেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তাদের (চ্যানেল মালিকদের) ছিল কি না সেই প্রশ্নও তুলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেবল ব্যবসায়ীকভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না। টেলিভিশন চালাতে দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা জরুরি।’ না জেনে না বুঝে চালাতে গেলে পরিণতি এমন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই আরও শতাধিক চ্যানেলের আবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে জানিয়ে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘যাদের টেলিভিশন চালানোর অভিজ্ঞতা দক্ষতা ও যোগ্যতা রয়েছে, শুধুমাত্র তাদের আবেদনগুলোই বিবেচনা করা হবে। ’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।