ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনীতে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
নানা আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে দলটির নেতাকর্মীরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুরু হয় ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা। সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা হয়। দুপুরে আয়োজন করা হয় ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী।
৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাশে বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হবে। ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
এ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যের পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্তির ঘোষণা আসতে পারে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের পাশাপাশি সারা দেশের ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। তবে বিতর্কিত হয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানো রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগ।