গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পুলিশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনী প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। পুলিশ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্যারেড পরিদর্শনের পর বাহিনীর ১১৮ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক তুলে দেন তিনি।
পরে ভাষণে সরকারপ্রধান বলেন, ‘জনগণের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা, এটা পুলিশ বাহিনী আজকে করেছে। ৯৯৯- এখানে যেকোনো সমস্যায় পড়ে মানুষ টেলিফোন করলে পুলিশ ছুটে যায় এবং তাদের উদ্ধার করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। বিশেষ করে নিরাপদ সড়ক যাতে সৃষ্টি হয় তার জন্যে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আমাদের যারা পথ চলে, তারা অনেক সময় আমাদের ট্রাফিক রুলস মানে না। তারা যত্রতত্র যেখান থেকে সেখান থেকে গাড়ি চালাবে অথবা গাড়ির সামনে দিয়ে ছুটে চলে যাবে। ’
‘কাজেই আমাদের স্কুল জীবন থেকে এই ট্রাফিক রুলস জানা এবং এ সম্পর্কে রাস্তায় চলার সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া একান্তভাবে কর্তব্য। এ বিষয়ে আরও যত্নবান হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসীরা যখন অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, তখন তাদের হাতে ২৯ জন পুলিশ নিহত হয়েছিলেন। এ সময় পুলিশ অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলে জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে।’
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করছে। বিশেষ করে জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, বিদেশেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
গুজবের বিরুদ্ধে পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখি যে, সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক সময় নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। ইতিমধ্যে আমরা সাইবার ক্রাইম আইন একটা করে দিয়েছি, এইখানে এই সমস্ত গুজব রটানো করে যারা মানুষের ক্ষতি সাধন করে, তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশ যথাযথ ভূমিকা রেখেছে।’