ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর ‘সরকারি জুলুম-নির্যাতন’র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফয়েজ আহমেদকে সাদা পোশাকধারী লোকজন মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণের পর মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকায় অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান ফখরুল।
একইসঙ্গে ‘জুলুম-নির্যাতন’ অব্যাহত থাকলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলেও সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফখরুল তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা মহানগর সিটি নির্বাচনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সূত্রাপুর থানাধীন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফয়েজ আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল হলে তিনি আপিলের জন্য গতকাল নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সেগুনবাগিচায় নির্বাচনী কার্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছলে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে। পরে গতকাল তাঁকে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান এলাকায় তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়।
এছাড়া গতরাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তেজগাঁও থানা কৃষক দল সভাপতি নূর হোসেন মোল্লার ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডে জড়িত উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। একইসঙ্গে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, অথচ সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর ঘৃন্য কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। এসব ঘটনায় প্রতীয়মান হয়, আবারো ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের মতোই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও প্রহসনের নির্বাচন করবে বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। এ ধরনের নৈরাজ্যকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণ লাভে জনগণের মিলিত শক্তির বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন ফখরুল।