ঢাকা সিটি ভোটে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এর বিরেধিতা করেছি। আমরা বলেছি যে, ইভিএম দিয়ে কখনোই মানুষের যে রায়, তার প্রতিফলন হবে না। আমরা এখনো সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিরোধিতা করছি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গুম, খুন ও নির্মম নির্যাতনের শিকার পরিবারের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, গতকাল চট্টগ্রামে উপনির্বাচন হয়েছে, যেতেই দেয়নি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদেরকে। তার আগে বোমা মেরে, লাঠিসোটা দিয়ে ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরে জিজ্ঞাসা করেন বলবে যে, আপনারা পারেননি। পারব কোত্থেকে? যে গুণ্ডা লাঠি মারে, সন্ত্রাসী করে, তার সঙ্গে ভদ্রলোকেরা, সাধারণ মানুষেরা পারবে কোত্থেকে?
তিনি বলেন, আমাদের সরকারে যারা আছেন এরা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। তারা বক্তৃতা যখন করেন মনে হয় যেন কিছুই হয়নি দেশে, চমৎকার পরিবেশ আছে, দেশের মানুষ খুব ভালো আছে। প্রতিদিন পত্রিকায় দেখবেন একটা হত্যার মহা উৎসব চলছে। আজকে একটা মারাত্মক খবর দেখলাম মহাসড়কে মানুষের শরীরের অংশ ছিটিয়ে ছিটিয়ে আছে।
ফখরুল বলেন, তিন-চার বছরের শিশুকে পর্যন্ত হত্যা করা হচ্ছে। হত্যা, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ যেন একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে। মানুষ এখন আর কথা বলে না, কথা বলার সুযোগ নেই। এটাই চেয়েছিল ওরা। ভয়ভীতি ছড়িয়ে দিয়ে পুরো ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা, সেটাই করেছে তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে দানবে পরিণত হয়েছে। ২০০৮ সালের পরে শুধু খোলসটা পাল্টে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য, সংবিধান সংশোধন করেছে। তারপর একে একে বাংলাদেশের মূল চেতনাকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। তাদের শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করতে রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, যে শিশুরা এখানে আছে তারা ভাবে হয়তো তাদের বাবা ফিরে আসবে, মা ভাবে সন্তান ফিরে আসবে, স্ত্রী ভাবে তার স্বামী ফিরে আসবে? কিন্তু আসে না। এই পরিস্থিতি একটা অসহনীয় পরিবেশ। দম বন্ধ করা একটা পরিবেশ। সমাজ আজকে কিভাবে এই ধরনের পরিস্থিতি সহ্য করছে সেটাও চিন্তা করার বিষয়। কিন্তু তাদের (আওয়ামী লীগ) দাম্ভিকতার শেষ নেই।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির নিবার্হী সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী।