রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে বক্তব্য দিয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলছেন, রাজউককে হেয় করে বাহবা নেওয়ার চেষ্টা করেছে টিআইবি।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাজউকের দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন, তা সত্য নয়, এর কোনো ভিত্তি নেই। এটা সম্পূর্ণরূপে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং জনবান্ধব একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে হয়তো কারও দেওয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে হেয় প্রতিপন্ন করে আলাদা একটা বাহবা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একটি অভিযোগে তারা বলেছেন বিশেষ প্রকল্পের ক্ষেত্রে রিয়েল স্টেট ডেভেলপারকে ১৫ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। আমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এ জাতীয় কোনো প্রকল্পের অনুমোদনই হয়নি। আমি এক বছরের বেশি সময় আগে মন্ত্রী হয়েছি। বিশেষ প্রকল্পে ১৫ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয় এই তথ্য তারা কোথায় পেলেন? এই জাতীয় কোনো প্রকল্পই তো পাস করা হয়নি।
তিনি বলেন, আরেকটি জায়গায় তারা বলেছেন নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব। আমি মন্ত্রী হবার আজ পর্যন্ত কোনো নিয়োগই হয়নি। নিয়োগ না হলে রাজনৈতিক প্রভাব হয় কীভাবে? একটা নিয়োগও রাজউকে এখন পর্যন্ত হয়নি। নিয়োগের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ডও আমরা ইস্যু করিনি। কীসের ভিত্তিতে তারা বললেন, রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়?
এর আগে ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।