দেশের ইতিহাস বারবার বিকৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক’ বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের ইতিহাস বারবার বিকৃত হয়েছে। ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। ইতিহাস-ইতিহাসই।’
বাংলা ভাষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘অন্য ভাষা শেখার প্রয়োজন আছে, তবে বাংলা ভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই কোনো নেতার বিরুদ্ধে লেখা গোয়েন্দা প্রতিবেদন কেউ প্রকাশ করেনি। আমি এটা করেছি। কারণ, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সবকিছু থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার একটা চেষ্টা করা হয়েছে দীর্ঘ ২১ বছর। তাই আমি চেয়েছি, সত্যটা মানুষের জানা উচিত।
‘এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের চার খণ্ড বই আকারে প্রকাশ হয়েছে। পঞ্চম খণ্ড প্রকাশ হচ্ছে। মোট চৌদ্দ খণ্ড প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশের যে ইতিহাস, তার বিরাট অংশ এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে পাওয়া যায়।’
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করতে। একুশের রক্তে লেখা হয়েছিল স্বাধীনতা। ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির অত্যন্ত গৌরবের।’
নিজেদের পরিচয় নিয়ে গর্বের সঙ্গে চলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, এই অগ্রযাত্রা যেন অপ্রতিরোধ্যভাবে অব্যাহত থাকে আমরা সেটাই চাই। সেই সঙ্গে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা ও আন্তর্জাতিকভাবে বিস্তৃতি লাভের ব্যাপারেও সক্রিয় থাকতে হবে। আমরা বাঙালি, বাঙালি হিসেবেই বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবো।’
আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক-২০২০’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের একুশে পদক বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।