পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত হয়নি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যে বিচারটি দেখেছি, তাতে অভিযুক্তরা বলেছেন সঠিক বিচার হয়নি। আমরাও তাই মনে করি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার হয়নি। তাছাড়া সেনাবাহিনী কর্তৃক যে তদন্ত করা হয়েছিল তার রিপোর্ট আজও প্রকাশ করা হয়নি। তবে আমরা যদি কখনও সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই এর সঠিক তদন্ত করা হবে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১১তম বার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে বনানীর সামরিক কবরস্থানে বেলা ১১টার দিকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুল। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ একটি মর্মান্তিক ও কলঙ্কিত দিন। এই দিনে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তৎকালীন বিডিআর সদরদফতর পিলখানায় ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলক হত্যাকাণ্ড ঘটে। একটি চক্রান্তমূলক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫৭ জন অত্যন্ত ট্যালেন্টেড সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি আক্রমণ বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, এই দৃষ্টিতে এই দিনটিকে আমরা মনে করি আমাদের জাতীয় জীবনেও প্রচণ্ড রকমের প্রভাব পড়েছে। আজ আমরা দেখছি আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের মূল যে বিষয় গণতন্ত্র সেটিকে হরণ করা হয়েছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অবশ্যই আজকের দিনে এই বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ-তালার কাছে দোয়া করছি শহীদদের জন্য আল্লাহ যেন মাগফিরাত দান করেন। আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ন রাখেন। কোনো চক্রান্ত যেন আমাদের পরাজিত করতে না পারে।
চক্রান্তমূলকভাবেই যদি পিলখানা ট্রাজেডির ঘটনাটি ঘটে থাকে তাহলে যারা চক্রান্ত করেছে তাদের বিচার হয়েছে বলে আপনি মনে করেন? জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা যে বিচারটি দেখেছি, অভিযুক্তরাও বলেছেন সঠিক বিচার হয়নি। আমরাও তাই মনে করি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার হয়নি। সেনাবাহিনী কর্তৃক যে তদন্ত রিপোর্ট আজও সেটা প্রকাশ করা হয়নি।
হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছে- একটি ইনকোয়ারি কমিশন গঠন করার জন্য। যেটার রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। আপনি কি মনে করেন এমনটা হওয়া উচিত? বা আপনাদের এমন কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা? জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, দুঃখজনক হলেও এটা সত্য আজকাল আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং সেই ধরনের তদন্ত কতটুকু সত্যকে প্রকাশ করবে তা আমরা জানি না। তবে আমরা যদি কখনও সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই সুষ্ঠু সঠিক-তদন্ত করা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মেজর হাফিজ, মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, মেজর জেনারেল ইব্রাহিম, মেজর মিজানুর রহমান, মেজর নুর, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।