আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিতর্ক ভিত্তিক সমাজের মাধ্যমে সমাজের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বিতর্ক ভিত্তিক সমাজ গঠনে অপরিহার্য। এ বিষয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারি। দেশের গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সেলক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘স্বপ্নের সারথি শাহ আলমগীর’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ লাভ করেছে। কিন্তু সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতা সংবাদের গুণগত মান কমেছে। এই প্রতিযোগিতার জন্য অনেক সময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সম্ভব হয়ে উঠে না। অনেক সময় ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়ে থাকে। এ বিষয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ও প্রেস কাউন্সিলকে প্রয়োজনীয় কর্মশালার আয়োজন করার জন্যও বলা হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, নিবন্ধনের পর অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোকে প্রথম ধাপে নিবন্ধন দিতে চাই। চলতি মাসের ১৭ তারিখের পর থেকে নিবন্ধন দেওয়ার চেষ্টা করব।
শাহ আলমগীরের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি একজন উঁচু মাপের সাংবাদিক ও ভালো মানুষ ছিলেন। প্রচার বিমুখ একজন মানুষ ছিলেন তিনি। তার আচার-আচরণ ও দক্ষতা সব সময় আমাকে মুগ্ধ করেছে।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, তার মতো নির্লোভ, নির্মোহ, প্রচার বিমুখ ও সহকর্মীদের সঙ্গে সদাচারী মানুষের সমাজে দরকার আছে। তাহলে সমাজে তার মতো আরো ভালো মানুষের জন্ম হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কলামিস্ট সোহরাব হাসান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও প্রয়াত শাহ আলমগীরের সহধর্মিনী ফৌজিয়া বেগম মায়া।