জজ বদলির ঘটনায় ইস্যু খুঁজছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ বদলির ঘটনা নিয়ে বিএনপি এখন নতুন ইস্যু খুঁজছে।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। তার পরও যদি সেখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, সেটার সমাধান তারাই করবে।

তিনি আরও বলেন, বিচারক বদলির বিষয়টি সম্পূর্ণ বিচার বিভাগ ও আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা আইনের শাসনে এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। এ বিষয়ে দলীয়ভাবে মন্তব্য করবো না। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। পর্যবেক্ষণে কোনো বিচ্যুতি দেখলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিচারক বদলির ঘটনায় আওয়ামী লীগ বিব্রত কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এ বিষয় নিয়ে এখন ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করছে। এটা নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। তবে আওয়ামী লীগ বিব্রত নয়।

মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমন নিয়ে বিভিন্ন ইসলামী দলের কর্মসূচিতে শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি-না? এ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা সেরকম কিছু ভাবছি না। ঐতিহাসিক আয়োজনে সারাদেশের মানুষের মাঝে সাড়া জেগেছে। মুজিববর্ষের আয়োজন স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষও বাধা বা প্রতিবন্ধকতা দেখছে না। যারা আবেগে বিষয়টির বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি আছে, যারা বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছে, যেমন বিএনপি। মূলত বঙ্গবন্ধুকে তাদের সহ্য হয় না। তারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে ’৭৫-এ ভূমিকা রেখেছিল বিএনপি। এখন সেই দল বিএনপি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে বিরোধিতা করছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আয়োজন নিয়ে বিএনপি বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড, অতীতেও তারা এ অপচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু তাদের শত চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ঢেকে দিতে পারেনি।

শামীমা নূর পাপিয়ার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার নাম এসেছে, এতে দল শঙ্কিত কি-না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিব্রত হই না। যারা জড়িত আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। অপরাধী যেই হোক না কেন, শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেন না। অপরাধীরা নজরদারিতে রয়েছে। শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

এ সময় ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে সমন্বয়ক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মদ মন্নাফি প্রমুখ।