‘জনগণের স্বাস্থ্য নয়, এখনো বিএনপি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েই বেশি চিন্তিত’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৯ মার্চ) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমগ্র পৃথীবীর মানুষ এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে প্রতিকার ও শনাক্তকরণ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে তিন জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত প্রক্রিয়াধীন অন্যদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি’র বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা করোনা ভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত নয়, বরং চিন্তিত খালেদা জিয়াকে নিয়ে। কারণ তাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি চিন্তা দেখতে পাচ্ছি। দেশের মানুষ যেটা নিয়ে চিন্তিত সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয়, এটি তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে মনে হচ্ছে। ’
‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, যদি জনগণের রাজনীতি করতে চান, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি চিন্তিত না হয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত হন’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মুজিববর্ষে বিএনপি’র রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মুজিববর্ষে হিংসা ও বিদ্বেষের নিরসন হওয়া প্রয়োজন। খালেদা জিয়া হিংসার রাজনীতিটা করেন। তার জন্ম তারিখ পাল্টে, যেদিন জাতির পিতাকে হত্য করা হয়েছিলো, সেদিন তার জন্মের তারিখ নয়, তবুও সেদিন ভুয়া জন্মদিন পালন করেছেন, নিজে কেক কেটেছেন। তার সরকার যখন ক্ষমতায়, তখন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার সন্তান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিলো। যারা ঘৃণা ও হিংসার রাজনীতি করে, দেশের মানুষ নিয়ে তারা চিন্তা করে না। ‘
‘করোনা’ বিষয়ে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষের পদক্ষেপ কেমন হওয়া উচিত সে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শুধু করোনা ইস্যু নয় যেকোনো জাতীয় ইস্যুতে দল-মত নির্বিশেষে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত।
বিমানবন্দরে করোনা স্ক্যনিংয়ে কোনো ঘাটতি রয়েছে কি না, এপ্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকেই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমি চিকিৎসক নই, সে কারণে আমি টেকনিক্যাল উত্তর দিতে পারবো না। আমি যেটুকু জানি, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ১৫ দিন পর শনাক্ত করা যায়। চীনে এটির উৎপত্তি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যাদের উন্নত সব প্রস্তুকি ছিলো, তারাও করোনা ভাইরাস আটকাতে পারেনি। ইতালিতেও গেছে। তারা এতো কিছু প্রস্তুতি নিয়েও এই যাওয়াটা ঠেকাতে পারেনি। সেখানে বাংলাদেশ যতটা ঠেকিয়ে রেখেছে, সেটি অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো প্রস্তুতিরই স্বাক্ষর।’