বিশ্বব্যাপী মহমারির আকার নেওয়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সার্কের সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার বিকেলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সমন্বিত কর্মসূচি ঠিক করতে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ও নাগরিকদের রক্ষা করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থল-বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তিনটিই বিদেশ থেকে আসা রোগী। তারা ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। নতুন করে আরও দু’জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ দুটিও বিদেশ থেকে আসা কেস। স্থানীয়ভাবে এখনো কেউ সংক্রমিত হয়নি।
তিনি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনগণকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আমরা একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছি। সতর্কতা বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি। যেখানে প্রয়োজন হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে।
এ সময় ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশের প্রত্যেকটি স্তরে বিশেষ প্রোটোকল তৈরি করেছি। করোনাভাইরাস বিপর্যস্ত অঞ্চল থেকে প্রতিবেশি দেশগুলোর কিছু নাগরিককে সড়িয়ে আনতে সহায়তা করেছে ভারত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রথমে ধন্যবাদ জানান। চীনের উহান থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারতে নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে আরো ছিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবে রাজাপাকসে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা।