করোনার সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল-মাদারীপুরের সীমান্ত লকডাউন

মাদারীপুরে করোনা আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হওয়ার খবরে জেলার কালকিনি উপজেলার সাথে সংলগ্ন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সীমান্ত লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ব্যতীত গৌরনদী কালকিনি থেকে গৌরনদীতে প্রবেশের সড়কপথ থেকে শুরু করে পালরদী নদীর ১২টি পয়েন্টে খেয়াঘাট লকডাউন করে পাহাড়া বসিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

রবিবার সীমান্ত বন্ধ করার পর ঘোষেরহাট ও টরকীচর ব্রিজের দুই প্রান্তে শত শত মানুষ জড়ো হলে পুলিশ ব্রিজের উপর বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে পথ আটকে দিয়েছে।

টরকী বন্দর খেয়াঘাটের মাঝি রাকিব হাওলাদার জানান, পালরদী নদীতে প্রতিদিন ৩টি খেয়া নৌকায় কালকিনি উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ৪ সহস্রাধিক মানুষ ও মালামাল পারাপার করেন। করোনা বিস্তার রোধে থানা পুলিশ রবিবার খেয়াঘাটে এসে খেয়া নৌকায় পারাপার বন্ধ করে দেয়।

এরপর থেকে পুলিশ দিনরাত নদীর তীরে টহল দিচ্ছে। এভাবে গৌরনদীর সাথে কালকিনির প্রতিটি প্রবেশ পথের সড়ক ও খেয়াঘাট বন্ধ করে দেয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লোকজন অবাধে গৌরনদীতে যাতায়াত করছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত রবিবার থেকে টরকী বন্দরে পালরদী নদীর উপর ব্রিজে পুলিশ পাহাড়া বসিয়েছে।

একই সময় গৌরনদীর সীমান্তবর্তী পালরদী নদী ও ভূরঘাটা-বাকাই খালের ১২টি পয়েন্টে খেয়া নৌকায় লোকজন পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাদারীপুরের লোকজনের গৌরনদীতে যাতায়াত ঠেকাতে টরকী বন্দর, গৌরনদী বন্দর, গৌরনদী মাঝের খেয়াঘাট, পিঙ্গলাকাঠি বাজার, হোসনাবাদ বাজার, কয়ারিয়া, কুতুবপুর খেয়াঘাট ও ভূরঘাটা-বাকাই খালের বাকাই বাজার, মেদাকুল বাজার, সালতা খেয়াঘাটসহ ১২টি খেয়াঘাটে নৌকায় কালকিনিবাসীকে পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এরপর থেকে দুই প্রান্তের মানুষ সিমান্তে জড়ো হলে রবিবার থেকে টরকীচর ও বাকাই ঘোষেরহাট ব্রিজের উপর বাশ দিয়ে পথ আটকে দেয়া হয়।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, করোনা প্রতিরোধের জন্য সীমান্ত এলাকা বিশেষ করে পালরদী নদীর খেয়াঘাটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশদ্বার গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ড পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক বিভিন্ন সীমান্তে টহল দিচ্ছে। মাদারীপুরে করোনার ঝুঁকি থাকায় গৌরনদীতে যাতে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়তে পারে, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।