করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ছয়জনে। আর দেশে আরও তিনজন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যা ৫৪ জনে পৌঁছেছে।
আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। নতুন তিনজন যোগ হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট ৬ জন মৃত্যু বরণ করেছে। ২৬ জন সুস্থ হয়েছেন।’
জাহিদ মালেক এ সময় বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়তই হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বসানোর কাজ করছি। গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল প্রস্তুত করছি। ঢাকাসহ ঢাকার বাইরেও অনেক হাসপাতাল প্রস্তুত করছি ।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ এগিয়ে আসুক, টেস্ট করুক। আমি চাচ্ছি না জনগণ কেউ টেস্টের বাইরে থাকুক। যারা সন্দেহজনক অবস্থায় আছেন তারা টেস্ট করিয়ে নিন। নিজেরা ভালো থাকুন পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। টেস্ট ছাড়া কিন্তু আমরা বুঝতে পারবো না। আমি আবারও আহ্বান করছি যে আপনারা টেস্ট করুন।’
জনগণ সরকারি নির্দেশনা মানছেন না অভিযোগ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলতে চাই, সরকারি নির্দেশনা কিছুটা হলেও মানা হচ্ছে না। ঢাকা, পুরান এবং ঢাকার আশেপাশে বিভিন্ন জেলায়, ইউনিয়নগুলোতেও লোক ঘোরাফেরা করছে, বাজারে ঘোরাফেরা করছে, টি-স্টলে বসছে। এই জিনিসটা মোটেও কাম্য নয়। তাহলে তারা এই সংক্রমণটা ছড়িয়ে দেবে। আশা করি এই কাজ থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষ করে যারা ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে গেছেন তারাই ঘোরাফেরা করছেন। আমি আহ্বান করবো ঘোরাফেরা করবেন না, তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে। দেশকে আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না।’
বেসরকারি হাসপাতাল মালিক ও চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আরেকটি জিনিস আহ্বান করতে চাই, আমাদের যারা বেসরকারি ডাক্তাররা রয়েছেন তারা ভালো সেবা দেন। তাদের হাসপাতাল রয়েছে। বেসরকারি ডাক্তারদের চেম্বারগুলো অনেকগুলোই বন্ধ আছে, আমাদের কাছে লোকে বলে এবং হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা একটু স্তিমিত হয়ে গেছে। আমরা আশা করবো এই সময়ে আপনারাও এগিয়ে আসবেন, দেশবাসীর পাশে থাকবেন। আমরা সব সময় দেশবাসীর পাশে আছি। চেষ্টা করছি আমরা সব সময় চিকিৎসার উন্নয়ন করার জন্য।’