দিন দিন দেশে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে গতকাল শনাক্ত হয়েছিল ৫৪ জন। তার আগের দিন শনাক্ত হয় ৪১ জন।
আজ বৃহস্পবার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১১২ জন এবং সর্বমোট হলো ৩৩০। মৃত্যুবরণ করেছে গতকাল থেকে আজকে পর্যন্ত ১ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এই বিষয়ে এটুকু বলা যায় যে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের টেস্টের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, আগে একটা ল্যাবরেটরিতে হতো, এখন পনোরো ষোলোটার মতো ল্যাবরেটরিতে হয়। টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে বিধায় আমরা বুঝতে পারছি আক্রান্তের হার কেমন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘চীনের অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশের একটা আয়োজনটা করেছেন। কীভাবে তারা চীনে মোকাবিলা করেছে সেই বিষয়টি তারা জানিয়েছে। আমরা সেখান থেকে কিছু অ্যাডভাইস গ্রহণ করেছি। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যেই আমরা কাজ করছি। তাদের সবচেয়ে বড় বিষয়টি বলেছে যে আমাদেরকে এখন ঘরে থাকতে হবে। ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন এবং আমাদেরকে বেশি বেশি করে পরীক্ষা করতে হবে। এটিই তাদের মূল ম্যাসেজ ছিল। অর্থাৎ ঘরে থাকলে বেশি সংক্রমিত হবেন না, নিজেও ভালো থাকবেন অপরকেও ভালো রাখবেন।’
বেশি বেশি টেস্ট করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টেস্ট যত বেশি বেশি করা যাবে তত বেশি আমরা রোগী শনাক্ত করবো এবং আইসোলেশনে নেব। তাহলে নতুন করে আর শনাক্ত হবে না।
‘আমরা একটা নতুন খবর দিচ্ছি যে আমরা আইসোলেশন সেন্টার বাড়াচ্ছি’ যোগ করেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মূল ম্যাসেজ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যাসেজ “ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন”। “ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন এবং টেস্ট করুন। নিজে বাঁচুন, অপরকেও বাঁচান।“ এটিই আমাদের আজকের মূল কথা।’
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বমোট পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৯৭টি। তারমধ্যে ঢাকা শহরে হয়েছে ৬১৮টি।’
এর আগে গতকাল বুধবার শনাক্ত হয়েছিল ৫৪ জন। তার আগের দিন শনাক্ত হয় ৪১ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।