বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারা বিশ্ব যখন লকডাউন করছে- তখন সরকার তা গ্রহণ করেনি। বিচ্ছিন্নভাবে স্থানীয়ভাবে লকডাউন করছে। ত্রাণ বিতরণ কাজটিও সরকার সঠিকভাবে করতে পারছে না। আর এ কারণে মানুষ খাদ্যের অভাবে ভুগছে।
সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরের উদ্যোগে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সব ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে একেক সময় একেকটা তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, তারা মানুষের মধ্যে আশা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছে। তাই সরকার একবার সিদ্ধান্ত নিলো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকবে। কিন্তু পরিবহন খোলা রাখলো। যে কারণে কর্মীরা সারাদেশে ছড়িয়ে গেল। আবার এখন গার্মেন্টস খুলেছে। কিন্তু গার্মেন্টস কর্মীদের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দরকার, তা নেই। গার্মেন্টস কর্মীদের অনেকেই এখন আক্রান্ত হচ্ছে সাভার আশুলিয়া, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে। সরকার ব্যর্থ হয়েছে গার্মেন্টস মালিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে করানোর ক্ষেত্রে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এপ্রিলের ৪ তারিখে আমরা সরকারকে একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সাধারণ মানুষ যারা আছে এখন কাজ করতে পারবে না, তাদেরকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেয়ার জন্য আমরা বলেছি। তালিকা করে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এটা বণ্টন করা যেত। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত তারা কোনো গুরুত্বই দেয়নি।
মির্জা ফখরুল দেশের সকল বিত্তশালীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন। আমরা যেন ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়াতে পারি। সরকারকে আমরা বারবার বলেছি সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। কিন্তু তারা তা করছেন না। কোন রাজনৈতিক দল বা বিশেষজ্ঞ কারো সঙ্গে তারা পরামর্শ করছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার আমাদের সঠিক পথ দেখাতে পারেনি। জনগণের কাছে এ সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নাই। এ কারণে মার্চ মাস পর্যন্ত তারা করোনাভাইরাসকে অবহেলা করেছে।